যে কোন অসুস্থতার হাত থেকে সহজে মুক্তি পেতে আমরা দরকারে-অদরকারে মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক (antibiotics) খাই। অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শে। অনেক সময় নিজেই নিজেকে ডাক্তার ভেবে, কিংবা ঔষধ এর দোকানের পরামর্শে। ফলাফল, সংক্রমণজনিত রোগ হয়ত কমে যায় তারাতারি। কিন্তু, খারাপ প্রভাব ছেড়ে যায় শরীরে। ভালো ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। যার জন্য শরীরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার দৌরাত্ম্য বাড়ে। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাশুল তারপর গুণতে হয় আজীবন।
অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে সাধারণ এই রোগগুলি কমে:
১. ত্বকের সংক্রমণ।
২. নিউমোনিয়া।
৩. কিডনি বা অন্ত্রের সংক্রমণ।
৪. সাইনাস সংক্রমণ।
৫. কানে সংক্রমণ।
৬. মেনিনজাইটিস।
৭. দাঁতের সংক্রমণ।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে যেসব খারাপ প্রভাব ফেলে সেগুলো হলো :
কিছু ক্ষেত্রে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি ক্ষতিকারকগুলি জীবাণু নষ্ট করার পাশাপাশি আপনার শরীরের ভাল ব্যাকটেরিয়াগুলিকেও নষ্ট করে দেয়। এতে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়ার সংখ্যা বাড়ে। সুতরাং, অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহারের ফলে আপনার শরীরে বিপরীত প্রভাব পড়তে পারে।ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে সংক্রমণ আরও বেড়ে যেতে পারে।
তাছাড়া আরও কুপ্রভাব আছে –
ডায়রিয়াল সংক্রমণ।
বমি বমি ভাব।
পেটে ব্যথা।
পেশিতে টান বা ব্যথা।
মলের সঙ্গে রক্তপাত।
অর্থাৎ, ডাক্তারবাবুর পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি।
Be the first to comment