চা উপকারী না অপকারী ?

পানীয়ের মধ্যে চা আর কফি যে সেরা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সকাল থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবধি চা বা কফির অস্তিস্ব জুড়ি মেলা ভার। আড্ডা দিতে, ক্লান্তি দূর করতে, কাজের ফাঁকে, এগুলির সঙ্গে আর কিছু না হোক, অনায়াসে কয়েক কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়েই থাকে। এই দুটি পানীয় ছাড়া কোনও কিছুই যেন ঠিকঠাক জমে না। কেউ চা খেতে বেশি পছন্দ করেন, কেউবা আবার কফি। এই দুই পানীয় আমাদের কাছে নিত্যদিনের খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে উভয়েরই কিছু উপকারিতা, অপকারিতা আছে। জেনে নিই সেই সংক্রান্ত কিছু তথ্য।

উপকারিতা:

১) লিকার চা হার্টের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। ২) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। ৩) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৪) চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্ককে সচল রাখে ৷ ৫) শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। রক্ত চলাচল ভালো হয়। ৬) প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশন-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। ৭) ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে লিকার চা উপকারী কারণ এটি কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ৮) কিডনি রোগের জন্য উপকারী। ৯) রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।

অপকারিতা:

১) চা শরীর থেকে ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ। ২) হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, খিদের অনুভূতি নষ্ট করে। ৩) অতিরিক্ত চা পান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় ৪) বেশি চা পান করলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায় ৫) চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে, অ্যানিমিয়া হতে পারে। ৬) অতিরিক্ত চা বা কফি পানের কারণে এগুলির প্রতি আসক্তি তৈরি হয়। ফলস্বরুপ, একমুহূর্ত চা বা কফি ছাড়া থাকা যায় না, মাথা ব্যাথা, ক্লান্তি অনুভব হয়। ৭) গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চা, কফি পান করা উচিত নয়। ৮) খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*