আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ আপনার হাতেই

সেই সময় আজ নেই, বাড়ীর কঠোর শাসনে সন্তান প্রতিষ্ঠিত হবে। ৮০-৯০ দশকের সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার পদ্ধতি বর্তমানে অনেক ম্লান হয়ে গেছে। কর্মব্যস্ত বাবা-মা সন্তানদের ক্ষেত্রে অনেক দায়িত্বশীল কিন্তু এর মাঝে এক অজানা উদাসীনতা থেকে যায়।

আমরা আজ প্রায় সকল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান মনস্ক, তাহলে কেন আমাদের সন্তানদের বড় করবো না বিজ্ঞান মনস্ক ভাবে। গবেষকদের মতে, কখনো অতিরিক্ত আদরে বা শাসনে সন্তানকে বড় করা উচিত নয়। বরং তাদের প্রতি আচরণ হোক মিশ্র মনোভাবাপন্ন।

এমনটা আদর-কঠোর অভিভাবক যদি সত্যিই হতে না চান তাহলে ডাক্তারবাবুর দেওয়া একটা টিপস মানবেন? চিকিতসাবিজ্ঞান বলছে, যে মা বা বাবা ছোটো থেকেই বাচ্চাকে কোলের কাছে নিয়ে বসে গল্পের বই পড়েন বা বই পড়ানোর অভ্যেস করেন তিনি কিন্তু ভবিষ্যতে সন্তানের খুব কাছের একজন হয়ে ওঠেন।আর এতে দুরন্তপণাও অনেক কমে বাচ্চার। আপনাকে কাছে পেয়ে খুশি থাকে তার মনও।

এবিষয়ে একমত জার্নাল অব ডেভেলপমেন্টাল অ্যান্ড বিহাইভালিয়াল পেডিয়াট্রিক্সও। তাদের সমীক্ষা বলছে, বাচ্চা পড়তে পারুক চাই না পারুক, মা-বাবার সঙ্গে বই পড়ার ছুতোতে আসলে সে অনেকটা সময় কাছে পায় মা-বাবাকে। আর এভাবেই গড়ে ওঠে মা-বাবা-সন্তানের মধ্যে চিরকালের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।

শুধু যে নিয়ম করে বাচ্চাকে নিয়ে পড়তে বসালে সন্তান লেখাপড়ায় ভালো হবে তাই নয়, স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরে অন্য সহপাঠীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সাহায়্য করতে পারবে সহজেই। এমনচাই জানিয়েছেন টর্গাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ও গবেষক ম্যানুয়েল জিমিঞ্জে।

তাঁর আরও দাবি, যেকোনও মা-বাবাই যদি এই টিপস মেনে চলতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা সন্তানের খুব কাছের একজন হয়ে উঠতে পারবেন। শিখতে পারবেন, কীভাবে ভালো অভিভাবক হওয়া যায়। 

সমীক্ষা বলছে, বাচ্চার এক বছর বয়সে থেকেই তাকে নিয়ে বই পড়লে ওর তিন বছর বয়সে খুব ভালো অভিভাবক হবেন আপনি। তিন বছর বয়স থেকে এই অভ্যাস করলে ফল পাবেন বাচ্চার  পাঁচ বছরে। অর্থাত, আর পাঁচজন মা বা বাবার মতো ততটাও কঠোর হবেন না আপনি।

তাই যেসব মা ছোটো থেকেই বাচ্চাকে নিয়ে একসঙ্গে পড়তে বসেন, মায়ের সাহচর্যে সেই সব সন্তান অনেক নম্র, শান্ত হয়। আর মা-বাবাও সন্তান সত্যিই সত্যিই সামলান কঠোরে-কোমলে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*