সংসারে কোনো ভয় নাহি নাহি।

একটি ঝাঁ চকচকে গাড়ি যদি পথ।
চলতে গিয়ে হঠাৎ মাঝ পথে। থমকে দাঁড়ায় তাহলে এর চাইতে বেশি হতাশার আর কিছু নেই। দাম্পত্যে সন্তানহীনতাও অনেকটাই সেই থমকে যাওয়া গাড়ির। মতো। গাড়িকে সচল করতে যেমন প্রয়োজনে ধাক্কা দিতে হয়। ঠিক তেমনি বন্ধ্যাত্ব নিবারণেও চাই যুগপোযোগী চিকিৎসা। আর সেই চিকিৎসার অন্যতম পথ ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন নিয়ে । রয়েছে অনেক সংশয়। গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কোনোরকম । আপোশ করা চলে না। প্রাথমিক চাহিদা সুস্থ ডিম্বাণু, সচল। শুক্রাণু, আর কর্মক্ষম জরায়ু ছাড়া সম্ভব নয় সন্তান উৎপাদন। পদ্ধতি যাই হোক না কেন বিজ্ঞানের সহায়তায় তো আর শুক্রাণ, ডিম্বাণু বা জরায়ু তৈরি করা সম্ভব নয়। কৃত্রিম উপায়ে, ল্যাবরেটরিতে ক্ৰণ সৃষ্টি করা যেতেই পারে কিন্তু সেই প্রাণ তৈরিতে প্রয়োজন যে সুস্থ সবল ডিম্বাণু, চলনশীল শুক্রাণু তা তো আর গবেষণাগারে তৈরি করা সম্ভব হয় না। ফলে এর। কোনো একটির অভাব দেখা দিলে যদি গর্ভসঞ্চার বাধা প্রাপ্ত হয়। তখন তো দাতাদাত্রীর কাছে সাহায্য নিতেই হয়। যে ভাবে। চক্ষুদান, রক্তদান, কিডনি দান করা যায় ঠিক তেমনি শুক্রাণু, ডিম্বাণু বা ভ্রণ দান গ্রহন করা যেতেই পারে।
অনেক দিনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে স্পার্ম, এগ এবং জ্বণ দান অথবা গ্রহন করতে অনেক দম্পতিই বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। বিভিন্ন সামাজিক, মানসিক ও ব্যক্তিগত বাধা তাদের গ্রাস করে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে বড় একটি স্বপ্ন সফল করতে গিয়ে ছোট একটি দ্বিধার কাটা কেন বুকে বয়ে বেড়াবেন? আজ ধরুন। বড় কোনো একটি সার্জরি করতে গিয়ে দেহে রক্তের অভাব। দেখা দিলে অন্য ব্যক্তির দান করা রক্ত গ্রহন করবেন না? মোদ্দা কথা হচ্ছে নিতান্ত অপারগ হয়েই তো দানের আশ্রয় নিতে হচ্ছে – সেটা অনুধাবন করতে হবে। | অনেক মহিলা আছেন যাদের আদৌ ডিম্বাণু উৎপাদন হয়
কেউ বা কোনো জটিল রোগে ডিম্বাশয় বাদ দিয়েছেন। জরায়ু বা ডিম্বাশয়ে ক্যানসার হলে কেমোথেরাপি বা। রেডিওথেরাপি দিলে অনেক সময়ই ডিম্বাশয় থেকে আর ডিম্বাণু বের হয় না। জরায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন উপায়?
আবার পুরুষের ক্ষেত্রেও সমস্যা অনেক। হয়ত শুক্রাণু উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু আদতে স্পার্ম কাউন্ট স্বাভাবিকের চাইতে কম। অনেকের চলন্ত বা মোটাইল স্পার্ম থাকে না। আবার
অনেকের ছোট বেলায় টেস্টিসে চোট আঘাত বা কোনো অসুখ থেকে স্পার্ম উৎপাদন বিঘ্নিত হতে দেখেছি। টেস্টিস থেকে। শুক্রনালী পথে শুক্রাণু বের হয়, এই নালীতে সংক্রমণ হলেও শুক্রাণু প্রবাহ ব্যহত হয়। এছাড়া টেস্টিসে টিউমার বা ক্যানসার হলে তা বাদ দিতে হতে পারে। অথবা শরীরের অন্যত্র । ক্যানসারের প্রকোপ বাড়লে তা চিকিৎসায় রেডিওথেরাপি বা কেমোথেরাপি নিয়মিত দিলে স্পার্ম তৈরিতে সমস্যা হয়। | তাই এই পরিস্থিতিতে যখন নারী-পুরুষ কোনো একজনের। বা উভয়ের ফার্টিলিটি সংকট দেখা দেয় তখন স্পার্ম, এগ, প্রাণ। দান গ্রহন করে অথবা গর্ভ ভাড়া করে কিংবা স্যারোগেট মাদারের মাধ্যমে সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব। | তবে মানবিকতার সেরা

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*